নিজস্ব প্রতিবেদক – মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও তাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত প্রায় ২শতাধিক এনজিও সংস্থার গাড়ী, রোহিঙ্গাদের শেড নির্মান কাজে ব্যবহ্নত গাছ বাঁশ বোঝাই ট্রাক ও বানিজ্যচুক্তির আওতায় আমদানীকৃত পন্য পরিবহনে নিয়োজিত দিন রাত হাজার হাজার যানবাহন চলাচলের কারনে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত ও খানা খন্দকে একাকার হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষনে এসব ভাঙ্গনের তীব্রতা আরো বেড়ে যাওয়ায় ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও প্রচন্ড যানযটের কারনে সাধারন যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে অসহনিয় দুর্ভোগ।
সরজমিন এ সড়কের মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, কুতুপালং, বালুখালী, পানবাজার, থাইংখালী ও পালংখালী, হোয়াইক্যং, মিনাবাজার, হ্নীলা সদর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত গুলো বৃষ্টির পানিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ে নেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী জানান, ২৫ আগষ্টের পর রোহিঙ্গারা উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিলে তাদের সেবার নামে এনজিও সংস্থা গুলো তৎপর হয়ে উঠে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে প্রায় ২শতাধিক এনজিও তাদের ব্যবহ্নত গাড়ী ছাড়াও মালামাল পরিবহনের জন্য হাজারখানিক যানবাহন ছোট্র পরিসরে নির্মিত এ সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছে। সড়কের ভাঙ্গন ও খানা খন্দকের নেপথ্যে এনজিওদের দায়ী করে তাদেরকে অচল সড়ক সচল করার দাবী জানান।
উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃংখলা কমিটির সভায় বক্তারা সড়কের গত ৩ মাসে অর্ধশতাধিক যাত্রী ও পথচারীর অকাল মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য সভায় উপস্থিত এনজিও কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনায় কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সিরাজুল হক বিএ ও রাজাপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক ডালিমের মৃত্যু নিয়ে প্রশাসন তথা সর্বদলীয় নেতৃবৃন্ধু সর্বস্তরের জনসাধারন গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সমন্বয় সভায় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের নিকট কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের ৪টি বিআরটিসির বাস নামানোর সুপারিশ করে আপাতত এনজিওর গাড়ী গুলো যাতে মেরিনড্রাইভ হয়ে থাইংখালী দিয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে যাতায়ত করতে পারে সে ব্যপারে ক্যাম্পের ভিতর দিয়ে একটি সড়ক নির্মানের দাবী জানান।
উখিয়া যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, হাইস মালিক শ্রমিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্রো জানান, অচিরেই সড়ক মেরামত ও সম্প্রসারন করা না হলে স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগামী ছাত্রÑ ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাওয়া আসা বন্ধ হয়ে যাবে। কারন কোন অভিবাক আশা কওে না তার ছেলে মেয়ে গাড়ীর চাকায় পৃষ্ট হয়ে মারাযাক। এপ্রসঙ্গে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়ার সাথে মুঠফোনে আলাপ করা হলে তিনি জানান, আপাতত বর্ষার কারনে সড়কের গর্ত গুলো সংস্কার করা হচ্ছে। শুস্ক মৌসুমে সড়কের উভয় পাশে ৫ ফুট কার্পেটিং ৩ ফুট ব্রীক সলিন করার একটি প্রাককলন প্রস্তাব আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-